শাহরুখ-সালমান-দেব সুপার ফ্লপ!
বছরজুড়েই এফডিসির মূল ফটকের সামনে দাঁড়িয়ে থাকেন কিছু লোক। প্রিয় নায়ক-নায়িকাকে এক নজর দেখার আশায় এই ভিড়। অথচ এই নায়ক-নায়িকারা যখন কাফনের কাপড় পরে রাস্তায় নামেন, তখন প্রিয় তারকাদের সঙ্গে যুক্ত হন দেশের মানুষ। তাঁদের দাবি, শাহরুখ-সালমান-দেব কেউই দেশের দর্শকের মন জয় করতে পারেননি।
বছরজুড়ে বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে যে কয়েকটি ঘটনা উল্লেখ করার মতো, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল উপমহাদেশীয় চলচ্চিত্র প্রদর্শনের নামে ভারতের চলচ্চিত্র প্রদর্শনের চেষ্টা এবং এর প্রতিবাদে বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের সব সংগঠন একত্র হয়ে গঠন করে চলচ্চিত্র ঐক্যজোট।
হলগুলোতে ভারতীয় ছবি প্রদর্শনের প্রতিবাদে কাফনের কাপন পরে রাস্তায় নামেন চলচ্চিত্রের শিল্পী ও কলাকুশলীরা। তাঁদের দাবি ছিল, বাইরের ছবি দেখানো যাবে না। এর পক্ষে তাঁদের যুক্তি ছিল, ১০০ কোটি টাকার ছবির সঙ্গে প্রতিযোগিতায় আমাদের ৭০ লাখ টাকার ছবি দর্শক দেখবেন না। হলগুলোতে গিয়ে বিদেশি ছবির পোস্টার ছিঁড়ে ফেলা হয়। সিনেমা হলগুলোতে গিয়ে দর্শকের সঙ্গে কথাও বলেন তারকারা। রাস্তায় ও প্রেসক্লাবে মানববন্ধন করেন তাঁরা।
তবে আমদানি করা ছবি প্রদর্শনে কিছু প্রদর্শক আইনের আশ্রয় নেন। তাতে প্রদর্শনের অনুমতি পায় ‘খোকা ৪২০’, ‘খোকা বাবু’, ‘ওয়ান্টেড’ ও ‘ডন ২’। আশার বিষয় হলো, কলকাতার দেব অথবা মুম্বাইয়ের শাহরুখ-সালমানকে বড় পর্দায় গ্রহণ করেনি বাংলাদেশের দর্শক।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ পরিচালক সমিতির সহসভাপতি সোহানুর রহমান সোহান এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘শাহরুখ-সালমান-দেব বাংলাদেশের মাটিতে সুপারফ্লপ। আমাদের দর্শক তাঁদের ছবি দেখেননি। এ বছরে এটি আমাদের বড় অর্জন। পাশাপাশি এতে আমাদের দায়িত্ব আরো বেড়ে গেছে, কারণ দর্শক যে আমাদের ছবি দেখতে চান তা আবারো জানান দিলেন তাঁরা। সে জন্যই আমাদের চলচ্চিত্রে আরো মৌলিক গল্পের ছবির সংখ্যা বাড়াতে হবে। শিল্পীদের কাজের প্রতি আরো বেশি ডেডিকেটেড হতে হবে।’
এ বিষয়ে প্রদর্শক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মিয়া আলাউদ্দিন এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘কয়েক বছরের পুরাতন ছবি চালানোর কারণে আসলে আমদানি করা চারটি ছবি ভালো ব্যবসা করতে পারেনি। আর নতুন ছবি আনতে অনেক বেশি টাকা লাগে, যে কারণে বাংলাদেশে নতুন ভারতীয় ছবি চালানো সম্ভব নয়। এর পরও বলব, বাংলাদেশের প্রযোজক-পরিচালকরা যদি ভালো ছবি না বানান, তাহলে অন্য দেশের ছবিই আমাদের চালাতে হবে। অন্যথায় সিনেমা হলগুলো বন্ধ করে দিতে হবে। আরেকটি বিষয় হচ্ছে, আমাদের দেশে যেসব ছবি হচ্ছে, সেগুলোও ওই কলকাতার পুরাতন ছবির নকলই হচ্ছে। যে কারণে এই ছবিগুলোও ব্যবসা করতে পারছে না।’




কোন মন্তব্য নেই
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন